দুর্গাপুর , আসানসোল এর পর বর্ধমানে চালু হল সিএনজি পাম্প

2nd January 2021 11:12 pm বর্ধমান
দুর্গাপুর , আসানসোল এর পর বর্ধমানে চালু হল সিএনজি পাম্প


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, আসানসোলের পর এবার পূর্ব বর্ধমানেও চালু হয়ে গেল সিএনজি পাম্প। শনিবার বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যাণ্ডে ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রোল পাম্পেই চালু হয়ে গেল এই নয়া পাম্প। এদিন সিএনজি এই পাম্পের উদ্বোধন করেন ইন্ডিয়ান অয়েলে কর্পোরেশনের রিজিওনাল ডিজিএম দেবরাজ দত্ত। হাজির ছিলেন রাজ্যের ডিজিএম চিরঞ্জিত পোদ্দার, নরেশ কুমার আগরওয়াল, আদানি গ্যাস প্রাইভেট লিমিটেডের শুভজিত চক্রবর্তী প্রমুখরা। এই সিএনজি পাম্পের দায়িত্বে থাকা সঞ্জারী ফুয়েল ষ্টেশনের প্রতিনিধি শৈলেন বসাক জানিয়েছেন, এখন থেকে সমস্ত ধরণের গাড়িই এখান থেকে সিএনজি এই জ্বালানি পাবে। এদিন দেবরাজ দত্ত জানিয়েছেন, আগামী দিনে পরিবেশ বান্ধব হিসাবে পেট্রোল ডিজেলের পরিবর্তে এই জ্বালানিই গোটা দেশ জুড়ে ব্যবহৃত হবে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশের মধ্যে পাইপ লাইন বসানোর কাজ প্রায় সিংহভাগ হয়ে গেছে। শুধু গাড়ির জন্যই নয়, আগামী দিনে বাড়ি বাড়ি এই গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করার কাজও শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম চলতি জানুয়ারি মাসেই দুর্গাপুরের গোপালপুর গ্রামে চালু হচ্ছে এই পাইপলাইন পরিবেশিত গ্যাস সরবরাহ। ফলে গৃহস্থদের আর গ্যাস সিলিণ্ডারের ঝক্কি সামলাতে হবে না। প্রসঙ্গত, তিনি এদিন জানিয়েছেন, গাড়ির ক্ষেত্রে এই সিএনজি জ্বালানি পেট্রোলের থেকে ৪০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করবে। একইসঙ্গে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রেও গৃহস্থদের প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হবে। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন এই কাজকে সিংহভাগে নিয়ে যেতে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।